বার্তা ডেস্ক ০৫ অক্টোবার ২০২৫ ০৩:৪৫ পি.এম
দেশের প্রধান বিমানবন্দর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে প্রতিদিন কয়েক শ ফ্লাইট ওঠানামা করে। এখানকার অনেক সমস্যার একটি ট্রলি সংকট। একসঙ্গে কয়েকটি ফ্লাইট এলেই ট্রলি সংকটে পড়ছেন যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন এবং লাগেজ চলে আসার পরও তাদের বসে থাকতে হয় ট্রলি সংকটের কারণে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিমানবন্দরে ট্রলি ব্যবস্থাপনায় কাজ করছেন শতাধিক কর্মী। যাত্রীদের ব্যবহার করা ট্রলি যথাস্থানে নিয়ে রাখাই তাদের দায়িত্ব। অথচ তারা সেই দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করেন না। ফলে পর্যাপ্ত ট্রলি থাকার পরও যাত্রীরা প্রয়োজনের সময় তা পাচ্ছেন না।
ট্রলি সংকটের কারণে তা নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এমনই একটি ঘটনা ঘটে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে। সেদিন সকালে একই সময়ে সৌদি আরব, ইরাক ও মালয়েশিয়া থেকে তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করে। এসব ফ্লাইটে কয়েক শ যাত্রী ছিলেন। তারা কাছাকাছি সময়ে নামায় যাত্রীদের ভিড় জমে যায় লাগেজ বিভাগে।
রাগিব সামাদ, বেবিচক চেয়ারম্যান
জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে আসা কয়েক শ যাত্রী তাদের লাগেজ নিচ্ছিলেন। হঠাৎ ট্রলি সংকট দেখা দেয়। দুই যাত্রীর মধ্যে ট্রলি নিয়ে প্রথমে তর্ক পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পাশেই ছিলেন আনসার ও এপিবিএন সদস্যরা। তাদের হস্তক্ষেপে পরে আর বিষয়টি বেশিদূর গড়ায়নি।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে আগত বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সটি ভোর সাড়ে চারটায় ঢাকায় অবতরণ করে। কিন্তু যাত্রীদের বোর্ডিং ব্রিজের কাছে আসতে পাঁচটা বেজে যায়। পরে তাদের লাগেজ পেতে আরও ঘণ্টা পার হয়ে যায়। পাশাপাশি ট্রলি সংকট ছিল। সেই সময় একাধিক গ্রুপ তাদের লাগেজের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল।
মালয়েশিয়া ফেরত রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, রাত আড়াইটার ফ্লাইট ছেড়েছে তিনটায়। পরে বাংলাদেশ এসে আবার লাগেজ পেতে দেরি করতে হয়েছে। লাগেজ পেলেও ছিল ট্রলি সংকট। ফলে বসে ছিলেন অনেকে। বিশেষ করে যারা পরিবার নিয়ে ফিরেছেন তারা বেশি সংকটে পড়েন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে একটি বিমানবন্দর চলতে পারে না।’
তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরের কর্মীরাও খুব ধীরগতিতে কাজ করেন। যাত্রীরা যে ট্রলি পাচ্ছেন না বিষয়টি তাদের যেন নজরেই ছিল না। ঘণ্টাখানেক পর বাইরে থাকা প্রায় ৩০-৪০টি ট্রলি তারা ঠেলে আনেন।
বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রলি সংকটের কারণে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। বিশেষ করে একই সময়ে একাধিক ফ্লাইট অবতরণ করলে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।
সেখানে দায়িত্ব পালনকারী একটি বাহিনীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে জানান, তারা এমন ঘটনা দেখলেই দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা নেই বলেও দাবি করেন ওই কর্মী।
ট্রলি সংকটের চিত্র তুলে ধরে ইরাক ফেরত এক যাত্রী বলেন, ট্রলি মনে হয় কম, না হলে একসঙ্গে যখন তিন শতাধিক যাত্রী নামছে তখন ট্রলি মাত্র ৫০-৬০টা পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে বাকিগুলো কোথায় থাকে বা তারা কোথায় রাখে। যাত্রীরা তো ট্রলি এখন আর বিমানবন্দরের বাইরে নেয় না। তাহলে যারা কাজ করছেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। না হলে তো এমন হওয়ার কথা নয়।
ট্রলির যে সংকট রয়েছে তা স্বীকার করেছেন খোদ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান রাগিব সামাদও। তিনি এয়ারওয়েজ নিউজ বিডিকে বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। ট্রলির কিছুটা সংকট রয়েছে। আসলে একসঙ্গে একাধিক ফ্লাইট নামলে একটু চাপ হয়।’
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, পুরনো ট্রলি দিয়েই কাজ চলছে। তারা নতুন করে কিনবেন কি না এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি।
শাহজালালে ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির অভিযোগ, জিডি করেই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ!
শাহজালালের স্ট্রং হাউজের তালা ভাঙা, গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া যাওয়ার শঙ্কা
ওসমানী বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজে বিমানের ধাক্কা : সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট বাতিল
কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণ স্থগিত
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা ‘স্থগিত’
শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে, বাড়ার শঙ্কা নেই
অগ্নিকাণ্ড: শাহজালালে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা
সাইবার হামলার শঙ্কা দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
চট্টগ্রামে ফিরছে বিদেশি এয়ারলাইন্স, বাড়ছে ফ্লাইটের সংখ্যা
শাহজালালে ট্রলি সংকটে বিপাকে যাত্রীরা
নাম বদলের খেলায় বিপদে দেশ
শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিআইপি সুবিধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের